জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় শহরের বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের দূষণও সমান তালে বেড়েই চলেছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে বৃষ্টিপাত কমতেই ঢাকার বাতাস হয়ে উঠছে ‘অস্বাস্থ্যকর’।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে বায়দূষণে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে রয়েছে ভারতের দিল্লি শীর্ষে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে দিল্লির স্কোর ৩৮১। বাতাসের এ মান খুবই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১১৮ স্কোর নিয়ে রয়েছে ১৩তম স্থানে। ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থান রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, যার স্কোর ২৪২; আর ১৭৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়; এছাড়া ১৭৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিশসের কায়রো শহর এবং ১৬৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ১১৮ স্কোর নিয়ে রয়েছে ১৩তম স্থানে।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন -বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।