যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। খবর বিবিসির।
শপথ নেওয়ার পর ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, "ওভাল অফিসে পৌঁছেই ৬ জানুয়ারির ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করব।" তার এই ঘোষণায় উপস্থিত জনতা উল্লাস প্রকাশ করে। একজন নারী চিৎকার করে বলেন, ‘ফ্রিডম!’
ট্রাম্প ৬ জানুয়ারির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তাদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এই ক্ষমার পরিধি কতদূর বিস্তৃত হবে এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। সেদিন কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।
হামলাকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ করে। সশস্ত্র অবস্থায় তারা সিনেট হলে তাণ্ডব চালায় এবং তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ আইনপ্রণেতাদের কার্যালয় ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।
ডেমোক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নেন। তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিশ্চিত না হওয়ায় ট্রাম্প তখন শাস্তি থেকে রেহাই পান।
শপথের পর ট্রাম্প বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন। এছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো বড় ধরনের কিছু ঘোষণা দেন তিনি।