রমজান মাস সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। ভারত থেকে বাদাম, কিশমিশ, ছোলা, এবং নারিকেলসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ডলার রেট স্বাভাবিক রাখা গেলে এবং এলসি জটিলতা এড়ানো সম্ভব হলে আরও বেশি পণ্য আমদানি করা যাবে, যা বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
রমজানে নিত্যপণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। এই সময় বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে হিলি বন্দরের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য বন্দর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী মাস থেকে কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।
বিগত কয়েক মাসে এলসি জটিলতা ও ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। ডলার রেট সহনীয় থাকলে ভবিষ্যতে আরও বেশি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেছেন, রমজানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হিলি কাস্টমস ও বন্দরের তথ্যমতে, চলতি মাসে ভারত থেকে ৭৩টি ট্রাকে ১,৭২৮ মেট্রিক টন ছোলা, কিশমিশ, বাদাম এবং নারিকেল আমদানি হয়েছে। এই আমদানি কার্যক্রমের ফলে রমজানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।