বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার( ৩১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।খালাস পাওয়া অন্য দুজন হলেন-একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
আদালতে এদিন তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এসএম শাহজাহান, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, রাগীব রউফ চৌধুরী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন, মো. মাকসুদ উল্লাহ। আর আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইনগতভাবে এ মামলা চলতে পারে না। এই মামলায় তারেক রহমানের অপরাধ কি ছিল, ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে তিনি লন্ডনে একটি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্য একুশে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে মামলার আসামি করা হয়। এই মামলা আজ দুই পক্ষে শুনানি করে বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো একটি মামলায় লিগ্যাল কোনো এভিডেন্স নেই। যে কারেণে আমরা বার বার বলছি আইনগতভাবে তার মামলা মোকাবিলা করব।২০১৭ সালে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পরদিন তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের সঙ্গে মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকেও আসামি করা হয়।