আফগানিস্তানের তালেবান সরকার শর্তসাপেক্ষে আফগান নারীদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। তবে, এই সুযোগের জন্য নারীদের তাদের পুরুষ অভিভাবক বা মাহরামকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আফগান শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পাকিস্তানের বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক জানান, প্রায় ২১ হাজার আফগান শিক্ষার্থী পাকিস্তানের আল্লামা ইকবাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন, এর মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি নারী। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন (এইচইসি) ২ হাজার শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করবে, যার এক-তৃতীয়াংশ আসন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এ সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার ওপর আরোপিত দীর্ঘ বিধিনিষেধের মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান নারীদের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে নিষিদ্ধ করা হয়।
পাকিস্তানের এই উদ্যোগ আফগান নারীদের উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত করছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা অর্জন করেছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের ভিসা প্রদান এবং তালেবানের শর্ত মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য তারা প্রস্তুত।
এদিকে, পাকিস্তানের ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৫ তালিকায় স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে ইসলামাবাদের কায়েদে-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে।