যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা কোম্পানি ডিপসিকের এআইভিত্তিক চ্যাটবটের আগমন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চ্যাটজিপিটির মতো শক্তিশালী হলেও, কম খরচে উন্নত সেবা প্রদানের কারণে এআই খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মার্কিন প্রযুক্তি শেয়ারবাজারে তীব্র দরপতন ঘটেছে, যা আর্থিক বাজারকে বিপর্যস্ত করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, "ডিপসিক আমাদের প্রযুক্তি শিল্পের জন্য একটি সতর্কবার্তা, তবে কম খরচে একই মানের প্রযুক্তি তৈরি করা আমাদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে।" তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই এআই খাতে নেতৃত্ব দেবে।
ডিপসিকের দাবি, তাদের চ্যাটবটটি মাত্র ৬০ লাখ ডলার খরচে তৈরি, যা চ্যাটজিপিটির সমকক্ষ। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো বিলিয়ন ডলার খরচ করেও এরকম প্রযুক্তি তৈরি করতে পারছে না।
ডিপসিক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষস্থানে রয়েছে, চ্যাটজিপিটিকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
ডিপসিকের উত্থান পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের এআই কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে। এনভিডিয়া একদিনেই ১৭% শেয়ারমূল্য হারিয়েছে, যার ফলে ৬০ হাজার কোটি ডলার বাজারমূল্য কমে গেছে। ব্রডকম ইনক-এর শেয়ারমূল্য ১৭.৪% কমে গেছে, মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য ২.১% এবং গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য ৪.২% কমেছে।
এদিকে, জাপানের শেয়ারবাজারেও এর প্রভাব পড়েছে, যেখানে নিক্কেই ২২৫ সূচক ১.৬২% কমেছে।
চীনা এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির পর, ট্রাম্প প্রশাসন ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে একটি এআই অবকাঠামো প্রকল্প ঘোষণা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ও গবেষণার গতি না বাড়ায়, তবে চীনা প্রযুক্তির প্রভাব আরও বিস্তার লাভ করবে।