যুক্তরাষ্ট্রে মাঝ আকাশে মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এবং আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষের পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিফিংয়ে ওবামা এবং বাইডেন-সমর্থিত ‘ডাইভার্সিটি হায়ারস’কে বিমান নিরাপত্তার মান কমানোর জন্য দোষারোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, বুধবার ২৯ জানুয়ারি রাতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের ধাক্কা লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কারণ জানতে তদন্ত চলছে।কারণ জানা না গেলেও এই দুর্ঘটনার জন্য তিনি তার পূর্বসূরিদের জাতি বা লিঙ্গভিত্তিক অগ্রাধিকারের ‘ডাইভার্সিটি’ উদ্যোগকে দুষছেন। বলেছেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য যাদেরকে নিয়োগ করা হয়ে এসেছে, তারা সবসময় যে যোগ্য লোক তা নয়।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য আনা হয়েছিল, তাতেই উড়োজাহাজ চলাচলে নিরাপত্তার মান কমেছে। আর সেটিই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ। যে দুর্ঘটনায় ৬৭ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি। কিন্তু ওবামা, বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা নীতিকে (পলিসি) কে প্রথমে রাখে। তারা আসলে বলতে চেয়েছেন ‘আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ’। কিন্তু আমরা বলেছি যোগ্য লোকদের চাই।’ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ব্রিফিং শুরু করার আগে ওয়াশিংটনের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।আরও বলেন যে তিনি ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক, ক্রিস রোচেলোকে নিয়োগ করছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার ২৯ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি বিমানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে ৩ জন মার্কিন সৈন্য ছিলেন।এটি যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস