যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার প্রস্তাব কোন ‘রসিকতা’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৃহস্পতিবার ( ৩০ জানুয়ারি) তিনি আরও বলেন যে, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় স্বার্থ।’বৃহস্পতিবার দ্য মেগিন কেলি শো-তে, রুবিও পুনর্ব্যক্ত করেন যে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান এবং গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনে সামরিক বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।রুবিও বলেন, ‘এটা কোন রসিকতা নয়। এটা জমি অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে জমি অধিগ্রহণের বিষয় নয়। এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত এবং এর সমাধান হওয়া দরকার।’তবে কবে নাগাদ গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে সে বিষয়ে কোন তথ্য জানাননি রুবিও। বলেন, এটি অবশ্যই প্রেসিডেন্টের বিষয়। কারণ তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আমরা এখনও কৌশলগতভাবে কীভাবে এগিয়ে যাব তা নিয়ে আলোচনা করার অবস্থানে নেই। আমি মনে করি আপনি যে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন তা হলো, এখন থেকে চার বছর পরে আর্কটিকের প্রতি আমাদের আগ্রহ আরও সুরক্ষিত হবে।
রুবিও আরও বলেন, আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলতে থাকায় জাহাজ পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে চীন এই অঞ্চলের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।এদিকে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগেদে, যিনি ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বারবার বলেছেন যে দ্বীপটি বিক্রির জন্য নয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের জনগণের।এদিকে ডেনিশ বার্লিংস্কে এবং গ্রিনল্যান্ডের সার্মিটসিয়াক দৈনিকে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুসারে, ৮৫ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী বলেছেন যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দিতে চান না।বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা জানান ডেনমার্কের সার্বভৌমত্ব ইইউর জন্য একটি ‘অপরিহার্য ইস্যু।’
সূত্র: পলিটিকো