রাজধানীর মিরপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের অভিযানে বেরিয়ে আসে প্রভাবশালীদের মদদে চলা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আখড়া। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জের এক গার্মেন্টস কর্মী, যিনি বিদেশ যেতে আগ্রহী ছিলেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বজনদের নিয়ে তিনি রাজধানীর কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন।
স্বজনদের দাবি, কয়েক মাস আগে সাগর নামে এক ব্যক্তি মালয়েশিয়ার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নেন। তবে দীর্ঘদিনেও ভিসার ব্যবস্থা না করায় তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। টাকা ফেরত চাইলে সাগর নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেওরাপাড়ায় এক ভবনে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযানে গেলে ভবনের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাইরে জিম ও শপিং সেন্টারের আড়ালে থাকা কয়েকটি গোপন কক্ষের সন্ধান মেলে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় গ্রিল কেটে ও দরজা ভেঙে এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়। সেখানে মদ ও ফেনসিডিলের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে।
ভবনের এক কেয়ারটেকার জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছিল। তবে অভিযান চলাকালে রহস্যজনক ফোন আসতে থাকে, এবং পুলিশের আচরণ বদলে যায়। তারা অভিযান শেষ না করেই তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান।
এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে পুলিশ।