ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক ঘর সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফের প্রতি বিজিবির আহ্বান হানি ট্র্যাপে ভারতীয় নৌ কর্মকর্তা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিকভাবে না দেখতে বাংলাদেশকে আহ্বান ভারতের গোপনে বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেত্রী নারগিস ফাখরি! পাত্র কে? শেফিল্ডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার বাংলাদেশের হামজা ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে আজ ৬ জিম্মিকে ছাড়ছে হামাস এবার ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের ওপর তোপ দাগলেন ট্রাম্প ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম বইমেলায়   খেলা আবার নতুন করে শুরু হতে পারে, প্রস্তুত থাকুন: জয়নুল আবদিন রণবীর সিংয়ের মুখে এফবিআই প্রধানের ছবি বসিয়ে অভিনন্দন একুশের পথ ধরেই গণতান্ত্রিক স্বাধিকার অর্জিত হয়েছে- তারেক রহমান ৩ দিন শিলাসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস পেছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা বলা ছাত্রীকে জামায়াত আমিরের স্যালুট একাধিক বাসে বিস্ফোরণ, ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো ৪৫ বাংলাদেশিকে সীমা ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প, কমছে জনপ্রিয়তা: জরিপ ফের স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রতিভরি ১৫৪৫২৫ টাকা  মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট ছুটির দিনেও বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নারীসহ দুজনকে মারধর

  • আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নারীসহ দুজনকে মারধর
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় নারীসহ দুজনকে মারধর করা হয়েছে। প্রথমে এক ব্যক্তি সেখানে জয় বাংলা স্লোগান দিলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে সেখান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রিকশায় তুলে নিয়ে যান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে এক নারীকেও একই কারণে মারধর করা হয়।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বেদম মারধরের শিকার ওই ব্যক্তিকে রক্ষা করতে সেখানে উপস্থিত তিনজন ব্যক্তি তাঁকে রিকশায় ওঠান। রিকশা ওপরেও ওঠানোর পর ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। প্রথমে কলাবাগানের দিকে নিয়ে যেতে চাইলে তাদের পেছনে দৌড়াতে থাকেন। পরে রিকশা ঘুরিয়ে ধানমন্ডি ২৭ এর দিকে রওনা হলে সেদিকেও কিছু মানুষকে রিকশার পেছনে দৌড়াতে দেখা যায়। মেট্রো শপিং সেন্টার পর্যন্ত ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধ জনতা।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই বলছেন, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন, আবার কেউ বলছেন তিনি ভিডিও করার কারণে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তখন আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দালাল বলে মারধর শুরু হয়।

এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরই ধানমন্ডি-৩২ এ আরেক নারী বেধড়ক মারধরের শিকার হন। ওই নারী বারবার আপা আপা বলছিলেন, আর ভাঙার দৃশ্যে আক্ষেপ করে বলছিলেন- ‘আপার বাড়ি ভাঙতেছে।’ এতে প্রথমে তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে, পরে শুরু হয় গণপিটুনি। তাকে মারতে মারতে ধানমন্ডি-৩২ এর বাইরে মূল সড়কের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় ওই নারীকে ‘মাইরেন না, মাইরেন না ভাই’ বলে চিৎকার করেন কেউ কেউ। মেট্রো শপিং সেন্টারের সামনে জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে একজন ফটোগ্রাফার তাঁকে রিকশায় উঠিয়ে নেন।এ সময় ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। মেট্রো শপিং সেন্টারের সামনে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়।

পরে দুপুর ১২টার দিকে কয়েকজন যুবককে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে নানান স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আবারও শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙা হয়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের পরে আবারও এক্সকাভেটর চালু করা হয় ভবনটি ভাঙতে। পরে সাড়ে ১০টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা বন্ধ হয় এবং সেটি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এরপরও মানুষকে হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙতে দেখা গেছে।

এই সময় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যদের দেখা যায়নি।সকাল ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, দলে দলে মানুষ গিয়ে সেখানে ভিড় করছেন। ওই সময় মানুষকে হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ভেতরে একটি ভবন থেকে মানুষকে বই নিয়ে যেতে দেখা যায়। কাউকে কাউকে কাটার দিয়ে রড, স্টিলের জিনিসপত্র কাটতে দেখা গেছে।

ভেতরের একটি ভবন থেকে মানুষকে বই নিয়ে যেতে দেখা যায়। বেশির ভাগ বই হলো বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইও রয়েছে।এ আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশকে ‘ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি’ মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত রাত ১১টা ৬ মিনিটে বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘এই মাটিতে স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন থাকবে না। আগামী প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এসেছি, আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই আওয়ামী লীগের জন্য কোনো কিবলা অবশিষ্ট রাখব না।’দেওয়ালের ইট খুলে হাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন সৈয়দ রিফাত নামের এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ধ্বংসস্তূপের প্রমাণ রেখে দেওয়ার জন্য এই ইট রাখলাম। এরপরও যদি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের কেউ ফিরে আসার কথা বলে, এই ইট তার কপালে যাবে।’

৩২ নম্বরের আশপাশের কয়েকটি বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। রাত ১১টায় ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙার জন্য বুলডোজারের জন্য বাড়িটির সামনে অপেক্ষা করছিলেন ছাত্র-জনতা। এ সময় ৩২ নম্বরের পাশের রাস্তা দিয়ে একটি ক্রেন যাচ্ছিল। বুলডোজার ভেবে আটকানো হয় ক্রেনটি। পরে সেই ক্রেন নিয়ে আসা হয় বাড়িটির সামনে। এ সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। সেই ক্রেন দিয়েই বাড়িটি ভাঙার শুরু করা হয়।
 

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক ঘর

কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক ঘর