লুটপাট করার উদ্দেশে বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দলবদ্ধ হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে রাতে জোর করে বাসায় প্রবেশের চেষ্টার দায়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম।এ সময় তাদের হেফাজত থেকে পাঁচটি লোহার রড ও পাঁচটি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়।শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ধানমন্ডির ১৩/এ রোডের ১৩ নম্বর বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন মো: হাসিবুল হাসান (৩৩), মো: গোলাম মোরশেদ (৩২), মাহমুদুল হাসান শিমুল (২০), আবু সালেহ হিরন (২৬), রুবেল হাওলাদার (২৭), আজিজুল ইসলাম (২১), মাহফুজুর রহমান (২৬), মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), ইয়াসিন আরাফাত (২০), মো: ইব্রাহিম (১৯), জিহাদ হোসেন (১৯), আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৬), শেখ শাহরিয়ার আহমেদ (১৬)।
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গ্রেফতার ১৩ জনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো চার-পাঁচজন ধানমন্ডির ১৩/এ রোডের ১৩ নম্বর বাসায় অর্থ, অলঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করার উদ্দেশে বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দলবদ্ধভাবে জোর করে প্রবেশ করে। তারা বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথে ওই বাসার সিকিউরিটি গার্ডদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তারা ওই বাসার কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং বাসার কয়েকটি ফ্ল্যাটে কলিংবেল বাজায় ও দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এ সংক্রান্তে খবর পেয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেখানে গিয়ে আশপাশের বাসার সিকিউরিটি গার্ড ও রাস্তার পথচারীদের সহযোগিতায় তাদেরকে সেই বাসায় অবরুদ্ধ করে। তাৎক্ষণিক ধানমন্ডি থানা পুলিশের ও সেনাবাহিনীর টহলটিম গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের অভিযোগের বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় ধানমন্ডি থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : ডিএমপি নিউজ