আফগানিস্তানে পাকিস্তান থেকে চিনির রপ্তানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যা চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৪ হাজার ৩৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত, পাকিস্তান আফগানিস্তানে ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিনি রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৫.৯৩ মিলিয়ন ডলার।
এই বিরাট বৃদ্ধির ফলে, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের মোট পণ্য রপ্তানির মধ্যে চিনির অবদান সবচেয়ে বড়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চিনির দাম পাকিস্তানে বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২৬ রুপি। এমনকি, মুনাফাখোররা গত বছর চিনির দাম কেজি প্রতি ১৮০ রুপি পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
পাইকারি বাজারে চিনির দাম বর্তমানে ১৫০ রুপি প্রতি কেজি, এবং মার্চ মাসের জন্য পূর্বাভাস অনুযায়ী দাম ১৫২ রুপি প্রতি কেজি হতে পারে। ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করেছেন যে, রমজানের সময় চিনির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। পাকিস্তানে প্রতি মাসে গড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন চিনির চাহিদা থাকে, কিন্তু রমজানে তা বেড়ে ১০ লাখ টনে পৌঁছায়।
এদিকে, পাকিস্তানের সরকার চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, চিনির খুচরা দাম ১৪৫.১৫ রুপি প্রতি কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং দাম বেড়ে গেলে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হবে।