ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রুজু করা মামলাগুলোর গুরুত্বের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার উপর জোর দেন এবং জানান যে, মামলার তদন্তে অগ্রগতি তৈরি করার পাশাপাশি নিষ্পত্তির হারও বাড়াতে হবে। তিনি মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।
কমিশনার আরও জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের মাধ্যমে নানা অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। গত ১৫ বছরে যারা বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষভাবে গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন প্রয়োজন। ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি রাজধানী ঢাকার যানজট সমস্যার প্রতি উল্লেখ করেন এবং বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের চর্চা বন্ধ করতে হবে। রাস্তা বন্ধ হলে শহরের অন্যান্য রাস্তাগুলোর চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়, যা আইনশৃঙ্খলার জন্য বড় সমস্যা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার সভায় যোগ দিয়ে বলেন, ঢাকা মহানগরীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এজন্য সবাইকে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে সর্বোচ্চ আইনানুগ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।