দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছে একটি চক্র, যার মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বর্তমানে ছয় মাসে প্রায় অর্ধশত অভিযোগ এসেছে, তবে দুদক ধারণা করছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। সংস্থাটি জানিয়েছে, কেউ যদি দুদকের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার নামে টাকা দাবি করে, তবে সেক্ষেত্রে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুদক তার কার্যক্রমে গতি আনে। এখন পর্যন্ত ৫০০ এর বেশি দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি এবং এর মধ্যে ২০০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, দুদকের নাম ভাঙিয়ে একটি পুরোনো প্রতারক চক্র আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে রংপুরের পীরগঞ্জ এবং মাদারীপুরে। সম্প্রতি পীরগঞ্জের রেজুনুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যানের নামে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “দুদক যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে, সেক্ষেত্রে অফিসে আসার জন্য চিঠি দেওয়া হবে, কখনও ফোন করে তাড়া দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, এসব চক্রের সঙ্গে দুদকের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি আরো বলেন, “যদি কেউ প্রতারণার উদ্দেশ্যে ফোনকল করে, তবে তাকে স্থানীয় দুদক কর্মকর্তাদের জানানো উচিত অথবা ১০৬ নম্বরে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।”
এদিকে, দুদক নিজেদের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে এবং ইতিমধ্যে ৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Mytv Online