দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, ২০০৪ সালের "তাক বাই গণহত্যা"র জন্য প্রথমবার জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এই ঘটনা থাইল্যান্ডের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলে ঘটেছিল, যেখানে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে বহু মুসলিমের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল।
থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার ক্ষমা প্রার্থনায় বলেন, তিনি যা কিছু করেছেন, তা থেকে যদি কোনো অস্বস্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তিনি তার জন্য দুঃখিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণের পাশে থাকা, কিন্তু যদি তার পদক্ষেপে কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান।
২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তাক বাইতে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভরত মুসলিম জনগণের ওপর গুলি চালায়, যার ফলে সাতজন নিহত হয়। পরে ৭৮ জন আটক ব্যক্তিকে সামরিক ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়, যা "তাক বাই গণহত্যা" নামে পরিচিত হয়।
এ ঘটনা থাইল্যান্ডের মুসলিম জনগণের প্রতি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এক চরম উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। থাই রাইটস গ্রুপ দুয়ে জাই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হেইমিনা বলেছেন, যদি থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার ক্ষমা প্রার্থনায় সত্যিই আন্তরিক হন, তবে তাকে নিহতদের পরিবারের কাছে সামনাসামনি দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।
এটি ছিল প্রায় দুই দশক পর ঘটে যাওয়া একটি বড় ক্ষমাপ্রার্থনা, যা থাইল্যান্ডের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।