ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মদের দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে মাতাল হয়ে বাথরুমে পড়ে রইল র‍্যাকুন ঋণের চাপে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনস বেচে দিচ্ছে পাকিস্তান সৌদিতে চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে কাল, আলো ছড়াবেন জোলি-ঐশ্বরিয়ারা এখনও ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আবারও সংশোধন হচ্ছে আরপিও বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ নেতৃত্বের ফয়সালা আসমান থেকে আসে: হাসনাত নতুন দুই ছানা পেল সন্তানহারা সেই মা কুকুর রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল তুরাগ নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ইমরান খানের জন্য চিন্তিত ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী, উৎপত্তিস্থল যেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে: ট্রাম্প হবিগঞ্জের প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে ফেলে যাওয়া নবজাতককে সারা রাত পাহারা দিল একদল কুকুর! বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে প্রায় ৫শ ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু ২৫ বছর আগে যা ছিলাম, এখন তার চেয়েও চাঙা বলার পরই বৈঠকে এক ঘণ্টা ঘুমালেন ট্রাম্প

মুসলিম গণহত্যার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ২৪-০২-২০২৫ ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০২-২০২৫ ০২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন
মুসলিম গণহত্যার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, ২০০৪ সালের "তাক বাই গণহত্যা"র জন্য প্রথমবার জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এই ঘটনা থাইল্যান্ডের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলে ঘটেছিল, যেখানে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে বহু মুসলিমের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল।

থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার ক্ষমা প্রার্থনায় বলেন, তিনি যা কিছু করেছেন, তা থেকে যদি কোনো অস্বস্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তিনি তার জন্য দুঃখিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণের পাশে থাকা, কিন্তু যদি তার পদক্ষেপে কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান।

২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তাক বাইতে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভরত মুসলিম জনগণের ওপর গুলি চালায়, যার ফলে সাতজন নিহত হয়। পরে ৭৮ জন আটক ব্যক্তিকে সামরিক ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়, যা "তাক বাই গণহত্যা" নামে পরিচিত হয়।

এ ঘটনা থাইল্যান্ডের মুসলিম জনগণের প্রতি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এক চরম উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। থাই রাইটস গ্রুপ দুয়ে জাই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হেইমিনা বলেছেন, যদি থাকসিন সিনাওয়াত্রা তার ক্ষমা প্রার্থনায় সত্যিই আন্তরিক হন, তবে তাকে নিহতদের পরিবারের কাছে সামনাসামনি দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।

এটি ছিল প্রায় দুই দশক পর ঘটে যাওয়া একটি বড় ক্ষমাপ্রার্থনা, যা থাইল্যান্ডের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।

কমেন্ট বক্স