ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ , ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্ল্যাট বুক করেছি, পরের বছর বিয়ে করতে পারব : বনি ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো বাবরের একই ব্যক্তি সরকার ও দলের প্রধান নয়– প্রস্তাবে একমত নয় বিএনপি নিকারাগুয়ার ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ রুখে দেয়ার আহ্বান জি এম কাদেরের দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম কারিগরি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় লেবাননে নিষিদ্ধ হলো ‘স্নো হোয়াইট’ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার জোট সরকার ছাড়ার হুমকি পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়ালের আরেকটি ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাংলাদেশে আসবে না: নাহিদ নিশোর যে অভিনয় ‘অন্য লেভেলের’ বললেন মেহজাবীন আওয়ামী লীগ যেন মিছিল করতে না পারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিসিবিতে দুর্নীতি ও পাতানো খেলা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ফারুক ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষপাতী নয় এনসিপি: আখতার হোসেন ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপ মোদির জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী পাকিস্তানে কেএফসিতে ভাঙচুর, গ্রেফতার কমপক্ষে ১৭০

মানিকগঞ্জে বাড়ছে গাজর চাষ, মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার বিক্রির সম্ভাবনা

  • আপলোড সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০১:২৪:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০১:২৪:৫৫ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জে বাড়ছে গাজর চাষ, মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার বিক্রির সম্ভাবনা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা এখন দেশের গাজর উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বরতা আর গাজরের স্বাদ দেশজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে চাষের পরিমাণ, আর কৃষকের মুখে ফুটছে হাসি।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৯৬০ হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে, যার ৯৫০ হেক্টরই সিংগাইরে। গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে এবার। এখানকার উৎপাদিত গাজর দিয়ে দেশের প্রায় ৪০% চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কৃষকেরা চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০ কোটি টাকার গাজর বিক্রি করতে পারবেন।

সিংগাইরের প্রতিটি ইউনিয়নে গাজরের আবাদ হলেও জয়মন্টপ ইউনিয়নের দুর্গাপুর, চর দুর্গাপুর, ভাকুম, চর ভাকুম, পূর্ব ও পশ্চিম ভাকুম গ্রামগুলো যেন গাজরের রাজধানী! পুরো গ্রাম জুড়েই বিস্তীর্ণ মাঠে দেখা মেলে গাজর তুলতে ব্যস্ত কৃষক আর শ্রমিকদের।

চর আজিমপুর গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ৭ লাখ টাকার গাজর বিক্রি করেছেন, প্রতি বিঘায় লাভ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ভাকুমের জয়নাল মিয়া বলেন, তিনি ৮ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আগেভাগেই বিক্রি করে দিয়েছেন, খরচ বাদে বেশ ভালো লাভ হয়েছে।

গাজর ব্যবসায়ী সিদ্দিক জানান, আগে ঢাকার বাজার থেকে গাজর কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠাতেন, কিন্তু এখন ক্ষেত থেকেই সরাসরি গাজর কিনছেন। এতে পরিবহন খরচ কমলেও শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে, তবুও লাভজনক থাকায় এই অঞ্চলের গাজরই তাদের পছন্দ।

আগে হাতে বা পা দিয়ে গাজর পরিষ্কার করতেন শ্রমিকরা। তবে এখন মেশিন দিয়ে দিনে ৩০০-৪০০ বস্তা গাজর পরিষ্কার করা যায়। শ্রমিক মহিবুল্লা বলেন, প্রতিটি বস্তা পরিষ্কার করতে তারা ১২০ টাকা মজুরি পান, দিনে গড়ে ১০০ বস্তার বেশি কাজ করা যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ জানান, সিংগাইরের গাজরের উৎপাদন ও চাহিদা দুটোই বাড়ছে। অক্টোবরের শেষ থেকে আবাদ শুরু হয়ে জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত চলে গাজর তোলা। বাজার ভালো থাকলে কৃষকেরা এই মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্ল্যাট বুক করেছি, পরের বছর বিয়ে করতে পারব : বনি

ফ্ল্যাট বুক করেছি, পরের বছর বিয়ে করতে পারব : বনি