রংপুরের পীরগাছায় গুজব ছড়িয়ে হেযবুত তওহীদের পাঁচটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দায়ী করে থানায় মামলা করেছেন সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীম। মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি পীরগাছা থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় পারুল ইউনিয়নের ছিদাম বাজার সংলগ্ন শামীমের বাড়িতে একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। এর আগের দিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় জামায়াত সভাপতি নূর আলম অনুষ্ঠানটি বন্ধের হুমকি দেন। প্রশাসনকে জানানো হলেও, পরদিন সকালে হামলা চালানো হয়।
নূর আলমের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে শামীমের বাড়ি, তার ভাইদের ও শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। ১৫ জন আহত হন, ২২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন শামীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠন আইন মেনে চলে। অথচ পরিকল্পিতভাবে আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, এমনকি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও লুট করেছে।’
পীরগাছা থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “দুই পক্ষের মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
এদিকে, ২৬ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, গ্রেপ্তার না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
Mytv Online