রমজান মাসে রোজার কথা স্মরণ না থাকায় অনেকেই ভুলবশত পানাহার করে ফেলেন, ভুলবশত এ ধরনের পানাহার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে রোজার কথা স্মরণ হওয়া মাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে এবং মুখ থেকে খাদ্য বের করে ফেলতে হবে।
ভুলে কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে?হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল, সে যেন তার রােজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/২০২)
হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার উপর কোন কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই। (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ০৮/২৮৮, সাহিহুল জামি, হাদিস: ৬০৭০, আলবাহরুল রায়েক: ২/২৭১)
রোজার রয়েছে অসংখ্য অগণিত ফজিলত। রোজা পূর্বের উম্মতদের উপরও ফরজ ছিল। আমাদের উপর ফরজ করে আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেন, হে ঈমাদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করতে পারো’ (সুরা: বাকারা-১৮৩)।
অন্য এক আয়াতে বলেন, রমজান মাস এমন মাস, যার ভেতর কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের পথপ্রদর্শক এবং সত্য পথ প্রদর্শনের ও সত্য-মিথ্যার প্রভেদ করার স্পষ্ট নিদর্শন। তোমাদের মধ্যে যে রমজান মাস পায়, সে যেন তাতে রোজা রাখে। (সুরা: বাকারা-১৮৫)।
হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোজা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোজা রাখবে। (বুখারি ১৯০৯, মুসলিম ১০৮০)