১৩ বছর বয়সি ডিজে ড্যানিয়েলকে ‘সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট’ হিসেবে নিয়োগ করে দেশবাসীকে চমকে দিয়ৈছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথমবার ভাষণ দিতে উঠে এমনই চমকপ্রদ ঘোষণা দেন তিনি।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, টেক্সাসের বাসিন্দা ১৩ বছরের ড্যানিয়েল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে কঠিন লড়াই চালাচ্ছে। তার স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার। সেজন্যই তাকে সিক্রেট এজেন্টের সাম্মানিক পদ দেয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। মার্কিন কংগ্রেসে ডিজে ড্যানিয়েলের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন সবার সামনে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে বিরল ক্যানসার ধরা পড়ে ১৩ বছরের ডিজে ড্যানিয়েলের। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পাঁচ মাসের বেশি বাঁচবে না। কিন্তু সব শারীরিক প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনে ফিরে এসেছে সে। নিজের স্বপ্নকে মরতে দেয়নি। বরাবরই পুলিশ অফিসার হওয়ার শখ ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,
মাত্র পাঁচ মাস সময় ছিল ওর হাতে। কিন্তু ছয় বছর ধরে মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে গেছে ডিজে ড্যানিয়েল। ওর বাবা ছেলের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ ওকে শ্রেষ্ঠ সম্মানে ভূষিত করছি আমরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসে একজন এজেন্ট হিসেবে ওকে নিয়োগ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি আমাদের নয়া সিক্রেট সার্ভিস ডিরেক্টর শন কুরানকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন একটি বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হয় এদিন। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান সদস্যরা একযোগ ডিজে ড্যানিয়েলকে অভিনন্দন জানান। করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাপিটল। বেশ কিছু সদস্য ১৩ বছরের নতুন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টকে কোলে তুলে নেন। ডিজে ড্যানিয়েলকে একটি সাম্মানিক ব্যাজ পরিয়ে দেন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর শন কুরান।