ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত অভিনেতা মাধব মারা গেছেন চলমান উত্তেজনায় দিল্লির সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি বাতিল নিজ দেশেই নিষিদ্ধ সোনু নিগম নতুন পোপ হলেন রবার্ট প্রেভোস্ট আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাতের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পিএসএল সরে গেলো আমিরাতে অবশেষে গ্রেফতার আইভী নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগকে: নাহিদ ইসলাম নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পদত্যাগ করব ‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের ম্যারাডোনার চিকিৎসার নথিপত্র জব্দ করেছে পুলিশ আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছেলের চুরির অভিযোগে মাকে নাকে খত, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘দ্রুত নির্বাচন না দিলে পরিণতি বিগত সরকারের মতোই হবে’-শামসুজ্জামান দুদু তিস্তায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন, সিদ্ধান্তের দায়িত্ব বাংলাদেশের সংলাপে বসলো ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী আন্দোলন ‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ তুলে ধরলেন মাহফুজ আলম ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫ মাহফুজ ও আসিফের সরকার থেকে সরে আসা উচিত: এনসিপি নেত্রী

নীরবতা কি সত্যি সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০৪:৫৫:৪১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ০৪:৫৫:৪১ অপরাহ্ন
নীরবতা কি সত্যি সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুস্থ ও সুসংহত যোগাযোগ সম্পর্কের মূল ভিত্তি। যখন এই যোগাযোগ কমে যায়, তখনই সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যা অনেক সময় বিচ্ছেদ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার পর কথাবার্তার পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। ম্যারিজডটকমের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন মনোবিদরা। তারা বলছেন, এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে, যদি দম্পতিরা একে অ পরের সঙ্গে নিয়মিত সংযোগ বজায় না রাখেন। সম্পর্কের গভীরতা ও আবেগ ধরে রাখতে কথোপকথন অত্যন্ত জরুরি।


যোগাযোগের অভাব দাম্পত্য জীবনে যেভাবে প্রভাব ফেলে: মনোবিদদের মতে, সঠিকভাবে কথা না বলার ফলে ধীরে ধীরে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। এর ফলে দম্পতিরা একে অপরের থেকে মানসিকভাবে দূরে সরে যেতে পারেন।

পারস্পরিক সমর্থনের অভাবঃ
যোগাযোগ কমে গেলে দম্পতিরা একে অপরের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন পাওয়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেন। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রধান সহায়ক হওয়া উচিত, কিন্তু যখন তারা নিজেদের অনুভূতি ও সমস্যাগুলো শেয়ার করেন না, তখন সেই সমর্থন হারিয়ে যায়। অনেক সময় একে অপরের পরিবর্তে অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, যা সম্পর্কের স্থায়িত্বের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


অপরিচিতের মতো আচরণ: যোগাযোগের অভাবে দম্পতিরা নিজেদের মাঝে দূরত্ব অনুভব করতে শুরু করেন। যদি দীর্ঘদিন একসঙ্গে থেকেও সঠিকভাবে কথা না হয়, তাহলে সম্পর্ক ক্রমশ ঠুনকো হয়ে যায়। যখন দেখবেন সঙ্গী আপনার অনুভূতি বা চিন্তাগুলো বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে, শারীরিক স্পর্শ কমিয়ে এনেছে কিংবা একসঙ্গে সময় কাটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে, তখন সতর্ক হওয়া জরুরি। শুধু দৈনন্দিন কাজ নিয়েই কথা বলার অভ্যাস সম্পর্ককে নিঃসঙ্গতার দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং এটি বিচ্ছেদের ইঙ্গিতও হতে পারে। 


দাম্পত্য জীবনে যোগাযোগ উন্নত করবেন যেভাবে: যদি দেখেন সম্পর্কের মধ্যে কথোপকথন কমে গেছে, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মনোবিদরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু কার্যকর উপায় দিয়েছেন, যা দাম্পত্য জীবনের সংযোগ আরও গভীর করতে পারে।

সঠিক ও আন্তরিক যোগাযোগের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনকে আরও সুখী, অর্থবহ এবং গভীর করা সম্ভব। তাই নীরবতার দেয়াল গড়ে ওঠার আগেই নিজেদের সম্পর্ককে সময় দিন, কথা বলুন এবং একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন।

কমেন্ট বক্স