নগদ অর্থ সংকট মোকাবিলায় চীন থেকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে পাকিস্তান। শনিবার (৮ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী খুররম শেহজাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর পাকিস্তান তার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। ঋণের প্রথম কিস্তি পর্যালোচনাধীন রয়েছে, এবং এই ধাপ সফল হলে দেশটি অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত করাই ছিল ঋণ পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এই প্রেক্ষাপটে চীনের ঋণ পাকিস্তানের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
বৈশ্বিক ঋণমান সংস্থা ফিচ রেটিং জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ২০২৫ অর্থবছরে ২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ফলে নতুন ঋণ তাদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে পাকিস্তানের বৃহত্তম ঋণদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। চীনের এই ঋণ পাকিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, এবং বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেতে পারে। তবে ঋণের বোঝা কমাতে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারও জরুরি।
এই ঋণ সহায়তা পাকিস্তানের জন্য অস্থায়ী স্বস্তি বয়ে আনলেও, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে দেশটির সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।