শিক্ষার্থীরা জানান, রমজানে জনগণের ভোগান্তি এড়াতে পূর্বঘোষিত 'শাহবাগ ব্লকেড' কর্মসূচি স্থগিত করেছেন তারা। এর পরিবর্তে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দেন।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর জানান, “শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেননি। তারা জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন আছে।”
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
- ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে নিশ্চিত করা: ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি নিশ্চিত করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
- 'জিরো টলারেন্স' নীতি: প্রশাসনকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষকদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
- দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেপ্তার, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি ও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।
- সালিসি বিচার নিষিদ্ধ: ধর্ষণের ঘটনায় সালিসি নিষিদ্ধ করতে হবে। কেউ যদি প্রশাসনের সহায়তায় ধর্ষকের মুক্তিতে ভূমিকা রাখে, তদন্তের ভিত্তিতে তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
- অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও শাস্তি: ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
- চলমান মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি: চলমান ধর্ষণ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।