নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) সরিয়ে একটি আলাদা সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনের সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ইসি কর্মকর্তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তারা জানান, সরকার নির্বাচনের অধীনে এনআইডি রাখতে চায় না, যার কারণে তারা এই নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
ইসি কর্মকর্তারা তাদের দাবি জানিয়েছেন, “আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি এবং কমিশনের মাধ্যমে সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি।” এ কারণে, ইসি কর্মকর্তারা আগামীকাল (১৩ মার্চ) মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা ইসি ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন। মানববন্ধন শেষে যদি সরকার তাদের দাবি মেনে না নেয়, তবে তারা কর্মবিরতি এবং এনআইডি সেবা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে, সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকের আলোচনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৩ মার্চ আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করেছে, যেখানে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের খসড়া পর্যালোচনা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এনআইডি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত। এর মাধ্যমে জটিলতা ও জনদুর্ভোগ এড়িয়ে, নাগরিকদের জন্মনিবন্ধন সনদ, এনআইডি এবং পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।