আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন এই তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মানবতাবাদী আর্কিটেক্ট হিসেবে খ্যাত ইয়াসমিন লারি ডনকে বলেন, 'আমাকে এটা করতেই হতো; আমার কোনো বিকল্প ছিল না। আমরা আর কী করতে পারি? আমাদের হাত বাঁধা। আমরা এখানে বসে আছি… ওদের (মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের) থেকে অনেক, অনেক দূরে। তাই আমি মনে করি, একজনকে অবশ্যই জানাতে হবে তার অবস্থান কোথায়।'
স্থাপত্য ক্ষেত্রে অসামান্য সব ডিজাইনের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ইয়াসমিন লারির প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তিনি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালের রয়্যাল গোল্ড মেডেল ফর আর্কিটেকচার। এই পুরস্কারটি ব্রিটেনের রাজা রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টসের সুপারিশে দিয়ে থাকেন। এছাড়া, তিনি ২০২০ সালে জেন ড্রু পুরস্কারও জয় করেছেন।
১৯৯৬ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় তার বই 'দ্য ডুয়াল সিটি: করাচি ডিউরিং দ্য রাজ'। এই বইতে তিনি করাচির ঔপনিবেশিক ইতিহাস, স্থাপত্য ও মানুষ নিয়ে লিখেছেন। তিনি ছিলেন প্রথমদিকের সংরক্ষণবিদদের একজন, যিনি সমুদ্রতীরবর্তী এই শহরের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রতি ইতিহাসপ্রেমী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।