গভীর রাতে সেহরির জন্য ওঠার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত হয় অনেকেরই। সঠিক সময়ে ঘুম না আসা, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুম কম হওয়াসহ নানা সমস্যায় ভোগেন রোজাদাররা। তাই এমন সমস্যার সমাধান ও ‘গভীর ঘুম’র নিশ্চয়তা পেতে মেনে চলতে পারেন কয়েকটি বিষয়।সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের পর শরীর অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই শরীরে ভোরে সেহরির জন্য ওঠা অনেকের জন্যই কষ্টকর। মনে রাখবেন, এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে নিশ্চিতে ভালো ঘুম।
রাতে ঘুম ভালো হলে সেহরিতে ভোরে উঠলেও আপনি থাকবেন অনেকটাই প্রাণবন্ত। এ জন্য আপনাকে অবশ্য মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়।ঘুমের সময় পার হয়ে গেলে কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। তাই রমজানের এ সময়টায় তারাবির নামাজের আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ২০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে তারাবির নামাজ পড়ে ফেলুন। এর পরই ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
দেরি করে ঘুমতে গেলে ভোরে ওঠা বেশ কঠিন। এতে শরীরেও বেশ খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই ভালো বা গভীর ঘুমের জন্য প্রথমেই ভালো ঘর পছন্দ করুন।ডায়েট লিস্টে এমনসব খাবার প্রাধান্য দিন যেগুলো ঘুমের জন্য ভালো। এ জন্য ইফতারে খাবার তালিকায় রাখতে পারেন বাদাম, দুধ, আখরোট, মধু, কলা, ডিম কিংবা মিষ্টি আলু। পাশাপাশি অনিদ্রা দূর করতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সঠিক সময়ে ঘুম আনতে ঘুমের চার ঘণ্টা আগে কফি, সিগারেট ও মদ্যপানের অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন। পাশাপাশি রাতে এড়িয়ে চলুন তৈলাক্ত, ভারী, চিনিজাতীয় খাবার বা কার্বহাইড্রেটযুক্ত পানীয়, যা হজম হতে বেশি সময় নেবে। সবসময় চেষ্টা করুন ঘুমতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার গ্রহণ করার।
প্রতিদিন এসব অভ্যাসের অনুশীলনে আপনি সঠিক সময়েই শান্তির ঘুমের দেখা পেয়ে যাবেন। সেই সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে যেতে পারবেন সেহরির সঠিক সময়ের আগেই।