সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো ও করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
রোববার (১৬ মার্চ) আসন্ন বাজেট সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।
ডলার সংকট, রিজার্ভ পতন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রফতানি ও রেমিটেন্সের দুর্বল গতির মতো নেতিবাচক অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এমন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সিপিডি তার সুপারিশমালায় বলছে, জ্বালানির দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি আরও উসকে যাবে। এই চিন্তা থেকে সরে আসার পাশাপাশি বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধের কথা বলেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপ সামাল দিতে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সিপিড। সেইসঙ্গে জুলাই বিপ্লবে আহত-নিহতদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছে।
এছাড়া সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে করফাঁকি বন্ধ ও সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোরও সুপারিশ করেছে সিপিডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকে আহত বা নিহত হয়েছেন। অনেকের শিক্ষাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেটে তাদের জন্য একটি বৃত্তি কর্মসূচি চালু করুক।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ করা হলে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকার পাবেন।