মানসিক শান্তি যেমন ঘুমের জন্য অপরিহার্য, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বালিশের। কেউ শক্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমান, কেউ আবার নরম বালিশ পছন্দ করেন। ভালো ঘুম ও সুস্থ থাকতে নরম নাকি শক্ত বালিশে ঘুমাবেন?শক্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমানোর কিছু সুবিধা রয়েছে। ঘাড় এবং মেরুদণ্ড সঠিক অবস্থানে থাকে। শক্ত বালিশ স্পন্ডিলোসিসের ঝুঁকি কমায়। নরম বালিশে ঘাড় বেঁকে থাকে। শক্ত বালিশে তা হয় না। শক্ত বালিশ তুলনামূলক ভাবে নরম বালিশের তুলনায় বেশিদিন টেকে।
তবে শক্ত বালিশে অনেকের ঘাড়ে ব্যথা হয়। যারা নরম বালিশে মাথা রেখে ঘুমাতে অভ্যস্ত, শক্ত বালিশে তাদের সমস্যা হয়।একইভাবে নরম বালিশেরও কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নরম বালিশে মাথা রেখে ঘুমালে আরাম পান অনেকে। মাথার উপর চাপ পড়ে না। মাথা নরমে ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হয়, যাতে বুজে আসে চোখের পাতা।
তবে বালিশ খুব নরম হলে মাথা ডুবে যায়। এতে শ্বাসনালিতে চাপ পড়তে পারে, বেঁকে যেতে পারে ঘাড়। শিরদাঁড়ার সমস্যাও হয়।যেভাবে ঘুমান সেই নিরিখে বালিশ বাছুন। চিৎ হয়ে ঘুমালে মাঝারি শক্ত বালিশে ঘাড় সোজা থাকবে। কাত হয়ে ঘুমালে তুলনামূলক নরম বালিশ। উপুড় হয়ে ঘুমালে বালিশ হোক নরম। মেরুদণ্ডে চাপ পড়বে না।প্রতি ১-২ বছর অন্তর বালিশ পরিবর্তন করুন। শিশুদের নরম বালিশে না শোওয়ানোই ভাল। এতে শ্বাসনালিতে চাপ পড়ে। তবে কোন বালিশ আপনার জন্য উপযুক্ত, তা বিশেষজ্ঞই বাতলে দিতে পারবেন।