ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান আইন উপদেষ্টার প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল চাঁদপুরে মেঘনা থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার হোয়াইট হাউসের সভা থেকে বের করে দেওয়া হলো জাকারবার্গকে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা মহামারির পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বরখাস্ত হওয়া থাই প্রধানমন্ত্রী পেলেন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব ভারতে অ্যাপলের কারখানা থেকে সরানো হলো ৩ শতাধিক চীনাকে ইউক্রেনের হামলায় রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধান নিহত ব্যাটিংয়ে দুর্দশা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি বাংকার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ৪ দিনের রিমান্ডে পরেশ রাওয়াল ফিরতেই সুনীল শেঠির রসিকতা! ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ‘থাড’ স্থাপন হলো সৌদিতে থানায় হামলা চালিয়ে ২ সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত ২০ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করতে ইচ্ছুক না: উমামা ফাতেমা বিয়ে সেরেছিলেন মাসখানেক আগে, গাড়ি দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু লিভারপুল তারকা দিয়োগো জোতা'র সংবিধানের নামে দেশে যেটি আছে সেটি আওয়ামী বিধান: হাসনাত তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে ট্যাগ করে যা বললেন সারজিস

মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৪:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৪:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন
মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়
মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়। দীর্ঘদিন মহাকাশে অবস্থান করলে নভোচারীদের হাড় ও পেশির ক্ষয় ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি, রক্তচাপ, কিডনি ও হার্টসহ নানা শারীরিক এবং মানসিক জটিলতা দেখা দেয়। পৃথিবীর সীমানার বাইরে নানা শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন মহাকাশচারীরা। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫০ মাইল ওপরের কক্ষপথে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। নাসা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে গবেষণা চালাচ্ছেন। যা আসলে পৃথিবীতে বসে সম্ভব নয়। একটা লম্বা সময় সেখানে অবস্থানের কারণে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে।

মানবদেহের গঠন ওজনহীনতা মহাকাশের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত না। মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, উচ্চ মাত্রার বিকিরণ, অভিযোজন, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের বাইরে থাকার কারণে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া, রক্তচাপ, কানের ও শরীরের ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের সমস্যা, মানসিক চাপ, ঘুমের ব্যাঘাত, মেজাজ খিটখিটে হওয়ার মতো নানা জটিলতায় ভোগেন নভোচারীরা।

দীর্ঘ সময় মহাকাশে অবস্থান করলে নভোচারীর হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। শরীরের তরল প্রবাহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। চোখের সমস্যার সঙ্গে শরীরের কোষ ও টিস্যুতে ঘটে পরিবর্তন। মহাবিশ্বে উচ্চ-শক্তির বিকিরণের সংস্পর্শে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এছাড়া, ডিএনএ, মস্তিষ্ক, হার্টের সমস্যার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে নভোচারীদের।

বেশিরভাগ শারীরিক সমস্যা আস্তে আস্তে ঠিক হলেও কিছু জটিলতা রয়ে যায়। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে এখন গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মাহাকাশচারীদের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দূর করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান এই সার্জন।

লিড ফ্লাইট সার্জন ড. স্টিভ্যান গিলমোর বলেন, ‘কোনো মিশনে যাওয়ার আগে নভোচারীদের আইকিউ টেস্ট নেয়া হয়। কারণ তারা ফিরে আসার পর কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পরীক্ষা করা হয়। তারা এ সময়ের পরিবর্তনগুলো পরিমাপ করতে পারে কিনা তা বুঝা যায়। গেল প্রায় ২৪ বছর যাবত নভোচারীদের নিয়ে কাজ করছি। একেকটি মিশন কখনও এক বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। তখন তাদের জীবনের নিত্যদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোও নিয়মিত তাদের জানানো হয়।’

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের শারীরিক অবস্থা মূলত মিশনের সময়কালের ওপর নির্ভর করে। স্বল্পমেয়াদি মিশনে ৯৫ শতাংশই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কয়েক মাস বা বছর কাটানোর ক্ষেত্রে কিছু মহাকাশচারী দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধকতায় পড়েন।

লিড ফ্লাইট সার্জন ড. স্টিভ্যান গিলমোর বলেন, ‘শরীরের বেশিরভাগ সিস্টেমই ৪৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে হাড় ও ক্যালসিয়াম পূরণে একটু বেশি সময় নেয় এবং অনেক সময় তা পুনরুদ্ধার হয় না। মহাকাশে থাকাকালীন হারানো ক্যালসিয়াম ফিরে পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।’

নভোচারীদের মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, পেশি, কিডনি, ত্বকের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও রক্তচাপ নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, যারা গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ মাস মহাকাশে ছিলেন পৃথিবীতে ফিরে আসার এক বছর পর তাদের হাড়ের ক্ষয় বেড়েছে গড়ে ২ দশমিক ১ শতাংশ। হাড়ের শক্তি কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। যা পরে আর পুনরুদ্ধার হয়নি। ২০২৪ সালে ২৬ সপ্তাহ মহাকাশে থাকা নভোচারীদের ৯০ শতাংশই মাথাব্যথার কথা জানিয়েছেন।

মহাকাশযান কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে এখনো অনেক তথ্য অজানা। দীর্ঘসময় ধরে মহাকাশ ভ্রমণ, নভোচারীদের ফুসফুসের কার্যকারিতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে তথ্য খুব কম। এছাড়াও, প্রজনন ক্ষমতার ওপর সীমিত গবেষণাও পরিচালিত হয়েছে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান