বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি শিশুর সঙ্গে পশুরা যে আচরণ করেছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। মেয়েটার জীবনের সর্বনাশ করেছে। এর প্রতিকার চেয়ে বাবা মামলা করেছেন, মামলা কেন করল, সেই ঝাল মেটানোর জন্য বাবাকেও মেরে ফেলেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অসহায় এই পরিবারের পাশে প্রতি মাসে সাথে আছে। এ ছাড়াও দেড় মাসের শিশু সন্তানটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই পরিবারের সাথে আছি।
সোমবার বরগুনায় নির্যাতিত শিশু ও তার নিহত বাবা মন্টু দাসের পৌরসভার কালিবাড়ী পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন সকাল ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে পৌঁছান। এর পরই তিনি সরাসরি বরগুনা শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মন্টু দাসের বাড়িতে চলে যান। সেখানে মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রানীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার সর্বোচ্চ আশ্বাস প্রদান করে মন্টু দাসের স্ত্রী-সন্তানদের হাতে জামা-কাপড়সহ উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৫ মার্চ বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা মন্টু চন্দ্র দাস। ওইদিনই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর ১২ মার্চ মামলার শুনানির দিন ছিল। ওইদিন মধ্যরাতে বাড়ির পেছন থেকে বাদী মন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে মন্টু দাসকে হত্যা করা করেছে ধর্ষককের স্বজনরা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দুর্দশায় দিন কাটছে পরিবারটির।
তিনি এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মন্টুর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে আছি। প্রতি মাসে আমরা আর্থিক সহায়তা প্রদান করব।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আল্লাহ আল কোরআনে বলেছেন যারা ধর্ষণ করে তারা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। আমরা সামাজিকভাবে মজলুমের পাশে দাঁড়ালে, জুলুমকারী ভয় পাবে। মানবতা যেখানে বিপর্যয় হবে, সেখানে আমরা ছুটে আসবো (যাব)।