ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজধানীতে গরুর হাটে সরবরাহ কম, ক্রেতাও কম প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান ও জর্ডান সীমান্তে পুশ ইন ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি আজ জামারায় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা সদরঘাটে ছুটছে মানুষ, ছাড়ছে লঞ্চ পুটি-কাতলা-রুই, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঈদুল আজহার আগের রাতে লেবাননে হামলা ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে আফ্রিকার দেশ চাদ ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার আখাউড়ায় দেবে গেলো সেতু মহাসড়কে যানজটের কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ আজ অনুশীলন নেই, রোজা রাখছেন হামজা মুক্তির আগেই রেকর্ড ভাঙছে হাউজফুল ৫ এমি মার্তিনেজের দলবদলের গুঞ্জনে নতুন মোড় মরক্কোতে এ বছর কোরবানি না দিতে সরকারি আদেশ জারি ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান চেয়ে পুতিনকে ফোনকল পোপের ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট চন্দ্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের ধীরগতি গতবারের মতো ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা সম্ভব হচ্ছে না: আইজিপি

ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশুর দেহ পুড়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা

  • আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০৬:৩১:০১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০৬:৩১:০১ অপরাহ্ন
ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশুর দেহ পুড়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা
ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় আরাফাত ইসলামের (১১) নামে এক শিশুর দেহ পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার। চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় দেয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নামে ওই চক্ষু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ফেনী সদর আমলি আদালতে ভুক্তভোগী শিশু আরাফাত ইসলামের মা বকুল চৌধুরী (৩৮) মামলাটি দায়ের করেন।


আদালতের বিচারক অপরাজিতা দাস অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ফেনীর সিভিল সার্জনকে ঘটনা তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি বকুল চৌধুরী তার ছেলে আরাফাতের চোখ দিয়ে পানি পড়া সংক্রান্ত অসুস্থতা নিয়ে ফেনী রেল গেইট এলাকায় একমাত্র আসামি চক্ষু চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত চেম্বার ফেনী আই সেন্টারে যান। এ সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. জাহাঙ্গীর Tab. Tegretol সহ ৪টি ঔষধের নাম লিখে একটি চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন। বাদী প্রদত্ত ঔষধসমূহ ভিকটিমকে নিয়ম মাফিক সেবন করাতে থাকেন। ৬-৭ দিন পর ভিকটিমের গায়ের রঙ ধীরে ধীরে বিবর্ণ হওয়াসহ সমস্ত শরীর ফুলে গিয়ে ব্যথা ও জ্বর আসে। এক পর্যায়ে আরাফাতের মা তাকে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানের পরামর্শ মতে ফেনী শহরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. প্রশান্ত কুমার শীলের কাছে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। ডা. প্রশান্ত কুমার ভিকটিমকে দেখে ও চোখের আসামির চিকিৎসাপত্র ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে ভিকটিমের খারাপ পরিস্থিতির জন্য ঔষধের বিক্রিয়াকে দায়ী করেন। তিনি জানিয়েছেন, আসামির দেয়া চিকিৎসাপত্রের ১ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ‘‘Tab. Tegretol'' নামীয় ঔষধটি সেবনের ফলে শরীরে ভয়াবহ বিক্রিয়া তৈরি হয়। যার ফলে ভিকটিম মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। ডা. প্রশান্ত কুমার শীল উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরামর্শ মতে ১৪ ফেব্রুয়ারি আরাফাতকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তির পর চিকিৎসা শুরু করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিকটিমের ছাড়পত্রে উল্লেখ করেন ‘After taking Tab Tegreto।’ যা আসামির অবহেলাজনিত ভুল চিকিৎসার কারণেই ভিকটিমের এ ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যা দণ্ডনীয় অপরাধ।


এদিকে ছেলের ভুল চিকিৎসায় শারীরিক পরিবর্তন এবং গুরুতর অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বকুল চৌধুরী চক্ষু চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কল করে জানান। এতে আসামি উল্টো তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
 
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে প্রতি ৭ দিন পর পর ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়। এরইমধ্যে বাদী বিধবা বকুল চৌধুরী মানসিক ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। এখন পর্যন্ত ভিকটিমের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

মামলার আইনজীবী হুমায়ন কবির বাদল বলেন, ‘সমাজ সচেতনতার জন‍্য মামলাটি একটি ফলক হবে। ন্যায় বিচার পেলে জীবন নিয়ে চিকিৎসকদের অবহেলা নিয়ন্ত্রণ হবে।’

কমেন্ট বক্স
রাজধানীতে গরুর হাটে সরবরাহ কম, ক্রেতাও কম

রাজধানীতে গরুর হাটে সরবরাহ কম, ক্রেতাও কম