ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মদের দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে মাতাল হয়ে বাথরুমে পড়ে রইল র‍্যাকুন ঋণের চাপে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনস বেচে দিচ্ছে পাকিস্তান সৌদিতে চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে কাল, আলো ছড়াবেন জোলি-ঐশ্বরিয়ারা এখনও ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আবারও সংশোধন হচ্ছে আরপিও বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ নেতৃত্বের ফয়সালা আসমান থেকে আসে: হাসনাত নতুন দুই ছানা পেল সন্তানহারা সেই মা কুকুর রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল তুরাগ নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ইমরান খানের জন্য চিন্তিত ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী, উৎপত্তিস্থল যেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে: ট্রাম্প হবিগঞ্জের প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে ফেলে যাওয়া নবজাতককে সারা রাত পাহারা দিল একদল কুকুর! বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে প্রায় ৫শ ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু ২৫ বছর আগে যা ছিলাম, এখন তার চেয়েও চাঙা বলার পরই বৈঠকে এক ঘণ্টা ঘুমালেন ট্রাম্প

১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ

  • আপলোড সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ
কখনো পানির প্রবাহে ভরা, কখনো বিশাল জলরাশির গর্জন—এভাবেই একসময় প্রবাহিত হতো মাদারীপুরের কুমার নদ। সময়ের বিবর্তনে অযত্ন, অবহেলা ও দখল-দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এই নদ।

নদীর জৌলুস ফেরাতে সরকার দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করলেও ফিরে আসেনি আগের স্রোত। বর্ষাকালে কিছুটা পানি দেখা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে তা শুকিয়ে খালে পরিণত হয়। নদীর পানি ঠিক রাখতে পুনরায় খননের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খননের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুমার নদের তীর ঘেঁষে একসময় গড়ে উঠেছিল মাদারীপুর জেলার চরমুগরিয়া ও রাজৈরের টেকেরহাট বন্দর। দুই দশক আগেও মাদারীপুর থেকে খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নৌপথে যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন ছিল এই নদ।

তখন নদীর পানিতে ছিল গভীরতা, ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। খুলনা থেকে বড় বড় স্টিমার এসে ভিড়ত মাদারীপুরের চরমুগরিয়ায়। পাল তুলে ছুটে যেত বিশাল নৌকা। কিন্তু এখন সেই নদ শুধুই স্মৃতি।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কুমার নদ পুনরুজ্জীবিত করতে দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক হয়নি। বর্ষার পানি কিছুদিন স্থায়ী থাকলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কোথাও কোথাও নদীর মাঝেই সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকসেদ শেখ বলেন, “আগে এই নদীর পানি সব কাজে ব্যবহার করা হতো। এখন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হয়ে গেছে। গোসল করা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধের কারণে কাছে যাওয়া যায় না।”

স্থানীয় যুবক হাফিজ তালুকদার জানান, “খনন করলেও কাজের কাজ হয়নি। মাঝখানে বেশি খোঁড়াখুঁড়ি করায় দুই পাশে মাটি জমে গেছে। এতে মানুষ সহজেই দখল করতে পারছে। টেকেরহাটের বাশহাটা অংশে ভালোভাবে খনন না করায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না।”

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের চৌধুরী বলেন,“নদ খননের জন্য নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদে কাজ চলছে।”

তবে স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া কুমার নদ বাঁচানো সম্ভব নয়। তারা দ্রুত দখল উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে খননের দাবি জানিয়েছেন।

কমেন্ট বক্স