থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অ্যারেনা থাই উন্মুক্ত সাঁতার প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয় দিন পদক জিতেছেন বাংলাদেশি সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি। রোববার (৬ এপ্রিল) ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্টে ২৭.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য পদক জিতেছেন তিনি।
এর আগে গতকাল ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন এই বাংলাদেশি সাঁতারু। দুই ইভেন্টেই নিজের সেরা টাইমিং করেছেন রাফি। ৫০ মিটারে তার আগের সেরা টাইমিং ছিল ২৭.২০ সেকেন্ড। ওই সময় নিয়ে এবার ব্রোঞ্জ জিতেছেন তুর্কমেনিস্তানের এক সাঁতারু। স্বর্ণ জিতেছেন স্বাগতিক থাইল্যান্ডের সাঁতারু, যার টাইমিং ছিল ২৬.৭৮ সেকেন্ড।
এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০ জন প্রতিযোগী। থাইল্যান্ড ছাড়াও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সাঁতারু অংশ নেন এই প্রতিযোগিতায়।
সামিউল ইসলাম রাফি দুই পদক জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী, সামনে এসএ গেমসেও ভালো করার প্রত্যাশা তার। রাফি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আরেকটি টুর্নামেন্ট খেলব সামনে। এর আগেই আমি ৫০ মিটারে টাইমিং ২৬-এর মধ্যে আনব। এসএ গেমসে ২৬ টাইমিংয়ে স্বর্ণ জয় করা সম্ভব।’
রাজবাড়ীর সন্তান রাফি জাতীয় পর্যায়ে একাধিক রেকর্ড ও স্বর্ণপদকের অধিকারী। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় সাঁতারু হিসেবে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন তাকে বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের বৃত্তির আওতায় থাইল্যান্ডে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি ফুকেট শহরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রাশিয়ান কোচ আলেকজান্ডার টিকোনিভের অধীনে। উল্লেখ্য, এই কোচ ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে পদক জিতেছিলেন।
কোচের প্রশংসা করে রাফি বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত বড় মাপের খেলোয়াড় এবং কোচ। তার কাছে আসার আগে আমি মূলত ব্যাকস্ট্রোক সাঁতারু ছিলাম। এখন ফ্রি স্টাইল, মিডলেও ভালো করছি। দেশে ফ্রি স্টাইলে স্বর্ণ জিতলাম। আর ব্যাকস্ট্রোকে তো উন্নতি করছিই।’
বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশন চারটি দেশে (থাইল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি) তাদের বৃত্তির আওতায় শতাধিক উদীয়মান সাঁতারুকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর আগে এই বৃত্তির আওতাতেই ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অলিম্পিয়ান মাহফিজুর রহমান সাগর।
নিজেও একজন অলিম্পিয়ান রাফি। গত বছর তিনি প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও ব্যাকস্ট্রোকেই বিশেষজ্ঞ হলেও ফ্রি স্টাইলে তিনি সেরা টাইমিং করেছিলেন সেই অলিম্পিক আসরেই।