তীব্র পানি সংকট ও পুরোনো অবকাঠামোর কারণে এক দশকের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে তাজিকিস্তান। এই সংকট আরও গভীর হওয়ায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন ঘোষিত আইনে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থানীয় সময় ৫ এপ্রিল (শনিবার) দেশটির পানিসম্পদ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দেয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে—বিদ্যুৎ মিটার টেম্পারিং, মিটার নষ্ট করে সংযোগ নেওয়া বা অবৈধভাবে লাইন টানা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল হতে পারে।
দেশটির বিচার মন্ত্রী রুস্তম শোয়েমুরোদ বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ নেয়, তারা শুধু আইন ভাঙছে না—তারা দেশের অর্থনীতির বিরুদ্ধেও কাজ করছে।’
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এই মধ্য এশীয় রাষ্ট্রটির ৯৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। তবে খরার কারণে জলাধারগুলোতে পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বছরে প্রায় ছয় মাসই বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত থাকে এবং নিয়মিত লোডশেডিং জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান ১৯৯২ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। এক সময় স্টেট ফার্মের প্রধান থাকা এই নেতা এখন জাতীয় শক্তি খাতেও শৃঙ্খলা আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নতুন এই আইন তার প্রশাসনের ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’রই অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।