বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে আজ। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন'–এর অংশগ্রহণকারীরা এই সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
২৯ মার্চ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও লাইসেন্স নিতে হবে। ইতোমধ্যে লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রক্রিয়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, “আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি। স্টারলিংকের প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে যাচাই করা হয়েছে।”
২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষা চালানো হয়, এবং বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আরও ত্বরান্বিত হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যার ফলে স্টারলিংকের পরিসেবা চালুর কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়। এরপর, গত মাসেও ঢাকায় বেশ কয়েকবার পরীক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
টেক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। স্টারলিংক ইতোমধ্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের বহু দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। এটি চালু হলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমবে। দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি যোগাযোগ স্থাপনে স্টারলিংকের কার্যকারিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তারা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ভুটানে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক সেবা চালু হয়েছে। এবার বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক সংযোগ।