তিনি বলেছেন, জুলাই যুদ্ধে তরুণদের মধ্যে যারা রাস্তায় ছিল তাদের বেশিভাগে স্লোগান তুলেছিল মেয়েরা। শুধু তাই নয়, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও মেয়েরাই ছিল সর্বাগ্রে।সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জুলাই যুদ্ধে তরুণদের মধ্যে যারা রাস্তায় ছিল তাদের বেশিভাগে স্লোগান তুলেছিল মেয়েরা। শুধু তাই নয়, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও মেয়েরাই ছিল সর্বাগ্রে।আজ রোববার ঢাকার বারিধারায় কসমোপলিটন ক্লাবে উইমেন এন্টারপ্রেয়নিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পূর্ণমিলনী ও নববর্ষের উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, জুলাই যুদ্ধে ‘কোটা নয় মেধার জয়’ তরুণ প্রজন্মদের সেদিনের স্লোগানে তাদের মুখের ভাষাই বলে দেয় বিগত সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি, জুলুম নির্যাতনের শিকার ছিল এদেশের জনগণ।তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন, অন্যায়, দুর্নীতি এতসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তরুন প্রজন্মদের স্পিড ছিল বলেই নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধারা পরিবর্তন না হলে আবার তরুণ সমাজ মাঠের নামবে, তারা জেগে উঠবে। বাংলার তরুণ জাতিকে কে দাবিয়ে রাখবে, তারা মরতে ভয় পায় না।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যারা দায়িত্ব পেয়েছি, আমরা যাতে ভুলে না যাই যে এই তরুণ বাচ্চাদের বুকের রক্তকে, যারা জীবন দিয়েছে তাদের দিকে তাকিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ৫০ লাখ মেয়েদের বিভিন্ন প্রফেশনাল ট্রেনিং দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, মেয়েদের সেলাই কাজ, কারুশিল্পের পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উইমেন এন্টারপ্রেয়নিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিজান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, গুলশান লেডিস কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি সালমা খালেদ এবং উইমেন এন্টারপ্রেয়নিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতারা।