ইউক্রেনের উত্তরের সামি অঞ্চলে ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালের এই হামলায় অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সামির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরতেম কোবজার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, যারা কোনোভাবেই যুদ্ধে জড়িত নয়।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে “কঠোর প্রতিক্রিয়ার” আহ্বান জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে পোড়া গাড়ি, ধ্বংসস্তূপ এবং সেখান থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার কুণ্ডলি। হামলার ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে এসব দৃশ্যে।
উল্লেখ্য, সামি অঞ্চলে রাশিয়ার সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়ে ইউক্রেন বিগত কয়েকদিন ধরেই সতর্ক করে আসছিল। সেই সতর্কতার মধ্যেই ঘটল এই মর্মান্তিক হামলা।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার উদ্যোগ নেন। তবে সেই আলোচনা এখনো ফলপ্রসূ হয়নি। সামির হামলার পর ইউক্রেনের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ইউক্রেনীয় মানবাধিকার কর্মী সেরহি স্টারনেনকো কটাক্ষ করে লেখেন, “রোববার : ইস্টারের আগে খ্রিষ্টানদের ছুটি। সামিতে বেসামরিকদের ওপর বর্বর হত্যাকাণ্ড। রাশিয়া এটি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে। কিন্তু কিছু ভাববেন না, স্টিভ উইটকোফ (ট্রাম্পের দূত) পুতিনকে ধন্যবাদ জানাবে এবং তার রক্তাক্ত হাত লেহন করবে।”