নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেলায় নাগরদোলায় চড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিন উদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম লাকী বেগম (১৯)। তাঁর স্বামীর নাম মো. শাকিব। ওই ঘটনার পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাকিবকে আটক করেছে পুলিশ। শাকিব নোয়াখালী সদর উপজেলার মান্নান নগরের বেদে পল্লী এলাকার মঙ্গল হোসেনের ছেলে। লাকী বেগমগঞ্জের উপজেলার কালাপোল এলাকার বেদে পল্লীর মনছুর আলীর মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আটটার দিকে নাগরদোলায় অনেক দর্শনার্থী ওঠেন। নাগরদোলা চলাকালে এক ব্যক্তি পাশের এক নারীর গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এতে গলার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহত লাকী বেগমের মা শেফালী বেগম বলেন, এক বছর আগে তাঁর মেয়ে ও শাকিবের বিয়ে হয়। ১৫ দিন আগে লাকী ও শাকিব তাঁদের বাড়িতে আসে। রোববার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। একপর্যায়ে লাকীকে মারধর করে শাকিব তাঁর মুঠোফোন ভেঙে ফেলে। গতকাল সন্ধ্যায় লাকীকে নিয়ে মেলায় যায় শাকিব। পরে তাঁর লাকীকে ছুরি মেরে হত্যার খবর পান।শেফালী বেগম আরও বলেন, তাঁর মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অভিযুক্ত শাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত শাকিবকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।