ঢাকা , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ , ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাফ চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে তানজিন তিশাকে আইনি নোটিশ পর্যাপ্ত ঘুমের পরও কেন কাটে না ক্লান্তি? জানুন কারণ ও করণীয় ডিম ও মাংসের দাম কমানো সম্ভব নয় : মৎস্য উপদেষ্টা জুলাই শহীদের মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ, ৩ আসামির সাজা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, এ সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে- আইন উপদেষ্টা প্রেস ক্লাবের সামনে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরির আবহ দেখছি: ইসি আনোয়ারুল অস্তিত্বের প্রশ্নে হিম্মতের সঙ্গে কাজ করতে হবে : ইউএনওদের ইসি বিনিয়োগ আকর্ষণে কোরিয়া গেল আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে -বেবিচক চেয়ারম্যান চোখের সামনেই জোবায়েদকে নিস্তেজ হতে দেখেছে বর্ষা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করবে বিএনপির প্রতিনিধিদল তেলাপোকা মারতে গিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট জ্বালিয়ে দিলেন তরুণী, প্রতিবেশীর মৃত্যু ইতিহাস গড়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আনলে দিতে হবে না শুল্ক ত্রিভুজ প্রেমের বলি জোবায়েদ: পুলিশ দিনটি ঐতিহাসিক, আমি সৌভাগ্যবান: শিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার জুলাই জাতীয় সনদে গণফোরামের স্বাক্ষর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করবে জামায়াত

গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কবি রফিক আজাদের স্মৃতিস্মারক বাড়ি

  • আপলোড সময় : ১৬-০৪-২০২৫ ০৪:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৪-২০২৫ ০৪:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন
গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কবি রফিক আজাদের স্মৃতিস্মারক বাড়ি
প্রয়াত কবি রফিক আজাদের ধানমণ্ডির বাড়ির একাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৯ বছর তিনি এই বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেছেন এবং এখানেই রচনা করেছেন ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ। বুধবার সকালে পূর্ব পাশে থাকা দুটি ইউনিট ভাঙার কাজ শুরু হয়।

ধানমণ্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪এ নম্বর বাড়িটিতে মোট চারটি ইউনিট ছিল। এর মধ্যে একটি ইউনিটে এখনও বসবাস করছেন কবির স্ত্রী কবি দিলারা হাফিজ। বাকি তিনটি ইউনিট অন্যদের নামে বরাদ্দ ছিল। বাড়িটির আয়তন প্রায় ৫ কাঠা জমির ওপর।

১৯৮৮ সালে দিলারা হাফিজের নামে বাড়িটি সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেয় ‘এস্টেট অফিস’। সে সময় তিনি ইডেন কলেজের প্রভাষক ছিলেন। বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়, এতে স্থায়ী মালিকানা দাবি করা যাবে না, তবে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাস করা যাবে।

দীর্ঘদিন পর সৈয়দ নেহাল আহাদ নামের একজন ব্যক্তি বাড়িটির মালিকানা দাবি করেন এবং ২০১২ সালে আদালত তার পক্ষে রায় দেন। এরপর দিলারা হাফিজ মামলা করলে আদালত বাড়িটির স্থিতাবস্থা দেন, যা পরবর্তীতে স্থায়ী করা হয়। মামলাটি এখন ঢাকার সপ্তম সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন এবং ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার দিলারা হাফিজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে বাড়ির স্মৃতিমূল্য বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। পরদিনই, বুধবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

দিলারা হাফিজ ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য। সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেন তিনি। তার স্বামী কবি রফিক আজাদ ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের দুই সন্তান অভিন্ন আজাদ ও অব্যয় আজাদ বর্তমানে প্রবাসে আছেন।

এ বিষয়ে দিলারা হাফিজ বলেন, কবি রফিক আজাদের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে বাড়িটির অংশবিশেষ সংরক্ষণের জন্য তিনি বহুবার চেষ্টা করেছেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে, তা তিনি কল্পনাও করেননি।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মাফ চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে তানজিন তিশাকে আইনি নোটিশ

মাফ চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে তানজিন তিশাকে আইনি নোটিশ