অবশ্যই, নিচে তোমার অনুরোধ অনুযায়ী একই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নিউজ স্টাইলে নতুন করে লেখা হলো:
---
**ওয়াক্ফ আইন ঘিরে সহিংসতা: বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’, পাল্টা জবাবে দিল্লি**
**নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল:** ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদে ওয়াক্ফ আইন পাসের পর ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত উদ্বেগ ও মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঢাকার বক্তব্য 'অযৌক্তিক' এবং এটি একটি ‘ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা’।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দেওয়া বিবৃতিতে রণধীর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “অযৌক্তিক মন্তব্য করার বদলে বাংলাদেশ যদি তাদের নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোনিবেশ করে, তবে সেটিই হবে অধিক উপযোগী।”
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ২ এপ্রিল লোকসভায় এবং পরদিন রাজ্যসভায় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’ পাস করে। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ৫ এপ্রিল তা আইনে পরিণত হয় এবং ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়। আইনটি পাসের পর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর আসে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের কিছু দুষ্কৃতকারীকে মুর্শিদাবাদে এনে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা করানো হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে গোপন চুক্তি হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ থেকে লোক এনে এই সহিংসতা ঘটানো হয়েছে।
মমতার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যে কোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।”
তিনি আরও জানান, ভারতে মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে অবহিত করা হয়েছে।
ঢাকার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই বিবৃতির জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের ভাষ্য, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
পরিস্থিতি এখন কিছুটা উত্তপ্ত। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিকভাবে এই ইস্যু কতদূর গড়ায়, তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।