আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার কোনো পক্ষপাতী নয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মতে, বিচার ও সংস্কারের স্পষ্ট রূপরেখা দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন আয়োজনের পথে অগ্রসর হতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপি’র প্রতিনিধি দলের বৈঠককালে আলোচনা বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, “বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে। কিন্তু কাজ না করে সময় নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। কাজের ভিত্তিতেই তাদের সময় নির্ধারিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “১/১১’র মতো ঘটনাগুলোর কারণে দেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বেড়েছে। তাই নির্বাচনের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে, তাদের মূল কাজ হবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।”
আখতার হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান রচনার পথে এগোনো যায়। বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। তাই কেবল আইন প্রণয়ন নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ মোট ৮ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বর্তমানে বিচার, সংস্কার ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।