ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য কামিল (স্নাতকোত্তর) ১ম ও ২য় পর্বের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কক্ষ পরিদর্শক ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অলিখিত উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে না। নির্ধারিত পরীক্ষার নির্ধারিত উত্তরপত্রই সরবরাহ করতে হবে। বিতরণের আগে যাচাই করে নিতে হবে—উত্তরপত্রটি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার কিনা। ভুল করে এক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্য পরীক্ষায় যেন ব্যবহার না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ওএমআর সিরিয়াল নম্বর ছাড়া কোনো উত্তরপত্র দেওয়া যাবে না। লিথু কোডের স্থানে কোনো দাগ বা বৃত্ত ভরাট করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
কক্ষ পরিদর্শকদের বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড, পরীক্ষা কোড এবং প্রশ্নপত্রের কোড সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা, ওএমআরে বৃত্ত ভরাট ঠিকঠাক হয়েছে কিনা এবং পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর মিলেছে কিনা—সব যাচাই করে তারপর নিজেদের স্বাক্ষর দিতে হবে।
পরীক্ষা শেষে বান্ডেল তৈরি নিয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয় কোড অনুযায়ী প্রতিটি বান্ডেলে ৫০টি করে উত্তরপত্র রাখতে হবে, সঙ্গে একটি করে প্রশ্নপত্র দিতে হবে। করোগেটেড বোর্ড দিয়ে সুতা বেঁধে বান্ডেল তৈরি করতে হবে। এক বান্ডেলে একাধিক বিষয়ের উত্তরপত্র রাখা যাবে না। বান্ডেল হলুদ কাপড়ে মুড়িয়ে ডাক বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠাতে হবে।
ওএমআর উত্তরপত্র প্যাকেট করার ক্ষেত্রেও নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। করোগেটেড বক্সে সর্বোচ্চ ২০০টি ওএমআর খাতা রাখা যাবে। প্রতিটি বক্সের ভেতর ও উপরে টপশিটের ফটোকপি দিতে হবে। এরপর কাপড়ে সেলাই করে সিলগালা অবস্থায় পাঠাতে হবে।
বিশেষ করে যেদিন পরীক্ষা হবে, সেদিনই খাতা ও ওএমআর পাঠাতে হবে। ৩, ১০, ১৭ ও ২৪ মে তারিখগুলো শনিবার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নিকটবর্তী ডাকঘর খোলা থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।