বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুসারে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।
যদিও এই রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যয়যোগ্য নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) এখনো প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এটি দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। বৈদেশিক মুদ্রার এ মজুত সাধারণত একটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার অন্যতম সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসীদের মধ্যে আবার বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার, যা ছিল গত দশ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার পর আগস্ট থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান, যা গত চার বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক প্রবাসী আয়। অক্টোবরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে।
এদিকে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দায় বাবদ দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ কিছুটা কমে যেতে পারে, যা নিয়মিত প্রক্রিয়া।