কলকাতা শহরের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকা বড়বাজারে একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।নিহতদের মধ্যে ২ জন শিশু, একজন মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ। আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
যে হোটেলটিতে আগুন লেগেছে, সেটির নাম ‘ঋতুরাজ’। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে আগুন লাগে এবং দ্রুত তা ৬ তলার সেই হোটেলটির প্রতিটি তলায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা সবাই আগুনের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
ঋতুরাজ হোটেলের একতলায় ছিল একটি গুদাম, দোতলায় রেস্তোরাঁ। বাকি তিন থেকে ৬ তলা পর্যন্ত ছিল অতিথি ও কর্মীদের থাকার ঘর। আগুন লাগার অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সেখানে পৌঁছে যায় এবং তাদের প্রচেষ্টায় রাত ৩ টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন, পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২৫ জনকে। জীবিতদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। মৃতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় জানা গেছে।
কীভাবে আগুন লাগল, কিংবা কোন তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনও জানা যায়নি। আগুন লাগার পর মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগর ও পৌরসভামন্ত্রী এবং কলকাতা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা। ফিরহাদ হাকিম সেখানে সাংবাদিকদের বলেছেন, “কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা দমকল ও পুলিশ খতিয়ে দেখবে। এফআইআর হবে। ঘটনার তদন্ত হবে।”
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেলের মালিক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।