নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে দুর্গাপুর পৌর শহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার পরপরই তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রদল।গ্রেপ্তার হওয়া ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রী নেত্রকোণা শহরে পরিবারসহ বসবাস করেন এবং ঢাকার একটি কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার তারা দুর্গাপুরে ঘুরতে গিয়ে ফয়সাল আহমেদের পরামর্শে বিরিশিরির একটি হোটেলে ওঠেন। পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রীটির হবু স্বামী খাবার কিনতে বাইরে গেলে ফয়সাল কৌশলে পুলিশে ফোন করে তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে মিথ্যা অভিযোগ দেন এবং দ্রুত গ্রেপ্তার করার অনুরোধ জানান। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, পুলিশ আটক তরুণের তথ্য অনুযায়ী হোটেল কক্ষে গেলে, তখন ছাত্রীটির চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং ফয়সাল আহমেদকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে। পুরো ঘটনাটি আধা ঘণ্টার মধ্যেই ঘটে।
পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ফয়সালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ফয়সালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ছাত্রীটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়সাল আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায়ভার ছাত্রদল নেবে না।”