ঢাকা , মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ সিরিয়ায় মুসলমানদের বিজয় পতাকা উড়েছিল যেভাবে মেয়েকে কোলে নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন দীপিকা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি অর্থপাচার মামলায় তারেক ও মামুনের সাজা স্থগিত ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত সিরিয়ার কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারে তল্লাশি, পাওয়া গেল ১৫টি মৃতদেহ বাশার আল-আসাদের সম্প্রদায়ের সমর্থন যেভাবে পেল বিদ্রোহীরা ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ, যা নিয়ে আলাপ হলো ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা থেকে এল চার জাহাজ সয়াবিন তেল চলতি মাসেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ঘোষণার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংক লোনের ‘মূলা ঝুলিয়ে’ ৫০ হাজার টাকার মুরগি খেলেন ম্যানেজার! সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু দামেস্কের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক! দাম বাড়ার পরই সয়াবিন তেলে সয়লাব বাজার মালদ্বীপে অসুস্থ প্রবাসীকে বিমান টিকিট দিলো হাইকমিশন সরকার পতনের পর সিরিয়ার ফুটবলের লোগো ও জার্সি পরিবর্তন ছাপা হচ্ছে জুলাই বিপ্লবগাথা নিয়ে ৪০ কোটি বই ভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবে

আ.লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে

  • আপলোড সময় : ০৮-১১-২০২৪ ১১:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১১-২০২৪ ১১:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন
আ.লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে
প্রশিক্ষণরত অবস্থায় উপপরিদর্শক (এসআই) পদের ৩১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন এবার প্রশিক্ষণরত ৩ হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল। এই উভয় পদের জনবল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।সর্বশেষ ৩ হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাধান্য পেয়েছে বিশেষ জেলাগুলো। আর এজন্য তাদের বিষয়ে জোরালো তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই কনস্টেবলরা নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা ও রাঙ্গামাটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে তাদের নিয়োগ বাতিল করবে নাকি কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হবে, তা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আলোচনা চলছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।এদিকে, চাকরিচ্যুত এসআইদের কেউ কেউ ক্ষোভ জানাচ্ছেন। সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ তারা করেননি। কী কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো, তা বুঝতেই পারছেন না। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আল্লাহর কাছে বলে রাখলাম, যদি তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে যেন এই অন্যায় অবিচারের বিচার একদিন না একদিন এই বাংলার মাটিতে দেখে যাওয়ার সুযোগ দেন। তোমরা যদি জমিনে জুলুম লেখো, আসমানে ইনকিলাব লেখা হবে। সব মনে রাখা হবে, সবকিছু মনে রাখা হবে। বিদায় স্বপ্নের ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি’।”


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে থানার কনস্টেবল পর্যন্ত অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবসরে পাঠনো হয় আওয়ামী লীগ সরকারের মতাদর্শী পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে গত সরকারের শেষ সময়ে কনস্টেবল, এসআই ও সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) নিয়োগ পর্যালোচনা চলছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরুর আগে গত জুন মাসে পুলিশে নিয়োগ পান ৩ হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল। মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৬৪ জেলায় চার পর্বে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক), পুলিশ সদর দপ্তরের রিক্রুটমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শাখা, ৬৪ জেলার পুলিশ সুপাররা বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নিয়োগে বিশেষ ঢাকা বিভাগকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের কাছে তথ্য আছে, মৌখিক পরীক্ষার আগের দিন পুলিশ সদর দপ্তরের নিয়োগ শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে জেলা পর্যায়ে কর্মরত কিছু সরকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে, যারা দলীয়ভাবে পরিচিত। লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থী ও তাদের পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় সংগ্রহ করেছেন এসব কর্মকর্তা। এ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগবিরোধীদের বাদ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। সেজন্য কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

তাছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছয়টি বিসিএসে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের আমলনামা নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে আট তথ্যের সন্ধান চলছে। আন্দোলনের সময় এসব ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন ওঠে তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে।

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ

মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ