বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো ক্ষেত্রেই টেকসই সংস্কার সম্ভব নয়। বিচার বিভাগে সংস্কার হলে সেটিকে ভিত্তি করে আরও বৃহত্তর জাতীয় সংস্কারের কাঠামো দাঁড় করানো সম্ভব হবে।
রোববার (৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বর্তমান সাংবিধানিক বাস্তবতায় বিচার বিভাগই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ কার্যকর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন না হয়, কোনো সেক্টরের সংস্কার কার্যক্রমই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারবে না।”
প্রধান বিচারপতি আরও জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সুইডেন বিচার বিভাগ সংস্কার বিষয়ে বাংলাদেশকে নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে এবং রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আগে অপরাধ ছিল বাস্তব জগতে, এখন তা অনেকাংশে ভার্চুয়াল জগতে, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে স্থানান্তরিত হয়েছে। সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি কাঠামো তৈরি এখন সময়ের দাবি।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র এখন প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ধরনের অপরাধ মোকাবেলায় আইনি কাঠামোর আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, এবং বাংলাদেশকেও এই বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এই বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি মূলত বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে আইনের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।