স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাব্যতা মাথায় রেখে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখতে এই মহড়া চালানো হবে। মহড়ার মূল দিকগুলো হলো:
- সমস্ত সরকারি দফতরে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থার সক্রিয়করণ
- ব্ল্যাকআউটের সময় করণীয় বিষয়ে নাগরিকদের প্রশিক্ষণ
- স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক মক ড্রিল
- গুজব প্রতিরোধে নির্দেশনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের পরামর্শ
- ঘরে অবস্থান, দরজা-জানালা বন্ধ রাখা এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখার মহড়া
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ রাজ্যের ২৩টি জেলার ৩১টি নির্দিষ্ট স্থানে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, যুদ্ধের সম্ভাব্য ঝুঁকি মাথায় রেখে শুধু সেনাবাহিনী নয়, দেশ রক্ষায় সাধারণ নাগরিকদেরও ভূমিকা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যেই নাগরিক সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
মহড়ায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও অংশ নেবে এবং প্রয়োজনীয় কৌশল ও করণীয় বিষয়গুলোর প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক পেহেলগাম হামলার দায় পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছে ভারত, যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।