ঢাকা , রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এনসিপি কেন জামায়াতে যাচ্ছে, জানালেন আখতার ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, স্বীকার করলো পুলিশ ২৬ মামলায় জিতে, অবশেষে পুলিশের হাতে ভুয়া আইনজীবী এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা তাসনিম জারার পুকুরে ধরা পড়ল ৮ কেজি ওজনের কাকিলা মাছ আজ থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে যা লিখলেন তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের নতুন সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন শিশির মনির ৩০০ ফিটের জনসমাগম নির্বাচন নিয়ে সমালোচকদের সব সন্দেহ দূর করে দিয়েছে উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়ব না : জাবের সিরিয়ায় জুমার নামাজে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৩ ১৯ বছর পর বাবার সমাধিস্থলে যাচ্ছেন তারেক রহমান বদলে গেল উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি পদ্ধতি তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সড়কের দুপাশে বিপুল নেতা-কর্মী ‘ফেরা’ বিমানে বসে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তারেক রহমান খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে সরকার ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন রাশেদ খান

আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলো বাংলাদেশ

  • আপলোড সময় : ০৯-১১-২০২৪ ০৮:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১১-২০২৪ ০৮:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলো বাংলাদেশ
ভারতের আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়, তারই অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে, ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট। এর পুরোটাই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে। কোম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিটি করেছিল। যা ছিল এক অসম চুক্তি। সব সুবিধা দেওয়া হয় আদানিকে। যা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদানির সঙ্গে একপেশে চুক্তি অনুযায়ী, তাদেরকে প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

সমালোচকরা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুত্ ক্রয়ের এই চুক্তি করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর দায় মেটাতে হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে।

কমেন্ট বক্স