ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত ঘিরে সাতক্ষীরার ২০৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।বিজিবির দেয়া তথ্য মতে, সাতক্ষীরায় ৩৬ কিলোমিটার ডাঙ্গা, আর বাকি ১৬৭ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সাতক্ষীরার ৩৩ ব্যাটালিয়ন রয়েছে।
সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নীরব নজরদারির সঙ্গে বিজিবির জোরদার টহল। এলাকাবাসীও সীমান্তের দিকে নজর রাখছেন।সীমান্তবাসী জানিয়েছেন, এখনও সাতক্ষীরার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান বিজিবির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিহত করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।
সীমান্তের এক জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান নিয়ে গন্ডগোল থাকলেও এই সীমান্ত এখনও স্বাভাবিক। তবে আগে ৫০০ গজ অন্তর একজন বিএসএফ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখন ৩০০ গজ অন্তর দেখতে পাওয়া গেছে। এটা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। যদি বিএসএফ কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তা বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’
জেলা কোর কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, সাতক্ষীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা। ভারত অংশে সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সাতক্ষীরা সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো করতে হবে।’