ভ্যাটিকানে শুরু হয়েছে ইতিহাসগন্ধি এক প্রক্রিয়া— পোপ নির্বাচন। তবে বুধবার সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে উঠলো কালো ধোঁয়া, মানে প্রথম দফা ভোটে কেউই নির্বাচিত হননি। ফলে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) নতুন পোপ বাছাইয়ে আরেক দফা ভোট হবে।
সিস্টিন চ্যাপেলের সেই বিখ্যাত চিমনি— বিশ্বের চোখ এখন সেখানেই। কারণ নতুন পোপ নির্বাচিত হলেই উঠবে সাদা ধোঁয়া, আর বাজবে ঘণ্টাধ্বনি। তা না হলে শুধু কালো ধোঁয়াই বলে দেবে— এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
নতুন ধর্মগুরু নির্বাচনের জন্য সিস্টিন চ্যাপেলে প্রবেশ করেছেন ৭০ দেশের ১৩৩ কার্ডিনাল, যা একটি রেকর্ড। একবার ভেতরে ঢুকলে তারা পুরোপুরি বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। একটাই কাজ— দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে কাউকে বেছে নেওয়া।
২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস নির্বাচিত হওয়ার সময় অংশ নিয়েছিলেন ৪৮ দেশের ১১৫ কার্ডিনাল।
ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে সম্ভাব্য নাম নিয়ে জল্পনা শুরু করে দিয়েছে। সম্ভাব্য দুজনের নাম শীর্ষে— ইতালীয় কার্ডিনাল পিয়েত্র পারোলিন এবং ফিলিপাইনের লুইস আন্তোনিও তাগলে।
যদিও পোপ ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের নেতা, তবু তাঁর প্রভাব বিশ্বব্যাপী। কূটনীতি থেকে মানবাধিকার, শান্তি থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ— সবখানেই পোপের বক্তব্য গ্লোবাল অভিঘাত তৈরি করে।